সেদিনের সেই রাত্রিতে-

সেদিনের সেই রাত্রিতে- মাহমুদুর রহমান।

দৈন্য মগ্নতায় হাঁপিয়ে ওঠা সমস্ত পৃথিবী যখন নির্ঘুম ঘুমে আচ্ছাদিত, সমস্ত জীব সত্তার বাস যখন কৃত্তিমতার মাঝে, ঠিক তখনই আমার অপলক চেয়ে থাকা দুটি চোখ একটি অস্তিত্বকে ঘিরে।
কল্পনার ধার কাটিয়ে আনুমানিক ১টা বাজে। খুব ইচ্ছে হচ্ছিল নিজের অব্যক্ত কথাগুলো তাকে খুলে বলি। আর সেই ইচ্ছে শক্তির ভিত ধরেই আমার ০১৭১১১১৩১৪৩ হতে ডায়াল করলাম তার ০১৭১৬২৪২৩৩২ নাম্বারে। মুহূর্তেই ফ্রিকোয়েন্সি ক্রিয়েট করে ওপার হতে ভেসে এলো অবিশ্বাস্য সেই সুর।
আমি বললাম- মিথিলী?
উত্তরে- হাঁ।
বললাম কেমন আছেন?
অসীম সাহসিকতা আমাকে নির্বাক বানিয়ে দিল। বলতে শুরু করলাম নিজের অতৃপ্ত চাওয়া গুলো নির্দ্বিধায়। তারপর কথোপকথন প্রায় ১২/১৪ মিনিট। অবশেষে তার যুক্তি আমাকে নির্ভর করে দিয়েছে। হতাশা হলাম না। কারণ, তার কথায় খুঁজে পেলাম নারী সচেতনতার একটি সুপ্ত বক্তব্য।
অর্থাৎ কথা প্রসঙ্গে সে বলছিল, আমি সংসারের বড় মেয়ে। আমার বাবা নেই, আর আমার পিতৃ-বিয়োগ তাও আবার আমার এক্সিডেন্টেরই কারণে। তাই আমি চাইনা, কারো কোনো ভালো আচরণে আমি দুর্বল হয়ে পড়ি। ছোটদের স্বার্থে আমাকে রিজার্ভ থাকতে হচ্ছে। মুহূর্তেই তাকে স্থান দিলাম নারীত্বের আদর্শ রূপে। আর, এই সুস্থ মানসিকতা আমাতে আবারো আশা যোগালো। মনে হল যেন, চাতকের ঠোঁটে এক ফোটা জল প্রাপ্তি। তাও আবার আমার ক্ষুদ্র ব্যক্তিত্বের দাবি।

শুরু হলো প্রতীক্ষা- কামনা আর বিশ্বাস, অনুকূল সময় ও সুযোগ তাকে আমাতে ফিরিয়ে আনবে। কিন্তু, না-
আশা, নিরাশায় রুপ মেয়ে জানি But এতটা নিছক হবে ভাবতে পারিনি। তাও মেনে নিলাম। শুধু মেনে নিতে পারছি না মনুষ্যত্বের পরাজয় কে, যার প্রতি আমার অপার শ্রদ্ধা নিবেদিত।
আমার সেই মহিয়ান অস্তিত্ব শুধু নিজেকে রত করিনি অর্থলোভী পুরুষরূপী প্রতারক মাথিনের কাছে, আমার ব্যক্তিত্বকেও করেছে খর্ব। ভালোবাসার জন্য সবই বেচতে দিলাম। তবুও তুমি ভালো থাকো। কারণ-
তুমি নারী!
কার সাধ্যে ধারণ তোমার মহিমান্বিত নিলা,
যেখানে অপার প্রকৃতিও হার মানে।
গর্বিত তুমি-
তাই বলছি, অহংকারী অভিলুব্ধ হয়ে নিজের উপযোগিতাটুকু নষ্ট করো না।

ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top